প্রতিনিধি পাকুন্দিয়া : পাকুন্দিয়ায় রাতের আঁধারে এক ব্যবসায়ীর পুকুরের পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার সুখিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের উজ্জল মিয়ার পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে উজ্জল মিয়া ও তার ভাইকে বেধড়ক মারধর করে প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে গত শনিবার দুপুরে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার সুখিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আমিন মিয়া (৪৫), জুলহাস মিয়া (৩৫), জীবন মিয়া (৩০), নাঈমুল মিয়া (২০) ও নাঈম মিয়া (৩০)।
ক্ষতিগ্রস্থ উজ্জল মিয়া উপজেলার সুখিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে। তিনি সুখিয়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমিন মিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিগত দিনে উজ্জল মিয়া ও তার পরিবারকে নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। আমিন মিয়া গংদের সঙ্গে উজ্জল মিয়ার পুকুরের সীমানা রয়েছে। গত শুক্রবার রাতের কোনো একসময় আমিন মিয়া তার লোকজন নিয়ে উজ্জল মিয়ার পুকুরের পাড় কেটে পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
গত শনিবার সকালে মাছ লুটের কারণ জানতে চাইলে আমিন মিয়া উত্তেজিত হয়ে উজ্জল মিয়ার ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক এমদাদুল হককে মারধর করে। এসময় ভয়ে উজ্জল মিয়া তার ভাইকে নিয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে যান। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে উজ্জল মিয়া তার ছোটভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সুখিয়া বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে আমিন মিয়ার নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর এবং ব্যবসায়ের দুই লাখ ৩০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন যাবত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। পরিকল্পিতভাবে আমার পুকুরের প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করায় আমি ও আমার ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আমি ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।