স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জে ১নং রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মস‚চিতে অংশগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘দফা এক দাবি এক’ চাউল চোর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবীতে স্লোগান দেন তারা।
পরে তাদের সাথে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা ও ইউপি সদস্য (মেম্বাররা) অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে আগে তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও পার পেয়েছেন এই লোটতরাজ।
২০২৩/২০২৪ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত পরিষদের ড্রেইনের কাজও পরিষদের মাঠ ভরাট করার জন্য ২টন চাল ও ২টন গম ও সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য ১লক্ষ ৭৬হাজার টাকা বরাদ্দ আসলে চেয়ারম্যান নিজে একটা কমিটির কোনো কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে। ৪০ দিনের কর্ম সিজন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।
এদিকে প্রকল্পের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। চেয়ারম্যান কখন টাকা তুলেছে আমার জানা নাই। তবে একটা প্রজেক্ট এরজন্য চেয়ারম্যান একটা ফরমে আমার সই রাখেন। পরে শুনছি চেয়ারম্যান টাকা উত্তোলন করে ফেলছে কিন্তু কোনো উন্নয়নম‚লক কোনো কাজ করেননি। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান দেশের যে পরিবেশ, এই কারণে যথাসময় সিসি ক্যামেরা ওমাটির ভরাটের কাজটি করতে পারি নাই।
তবে সিসি ক্যামেরাগুলো আমরা পরিষদে এনে রেখেছি, শুধুমাত্র লোকের কারণে লাগাতে পারছিনা। এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মো. আবু রাসেল বলেন, ১নং রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়ম শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।