মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জে শেখ হাসিনা-কাদের ও স্থানীয় চার এমপিসহ ২৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২১ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা গুলি, হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপনসহ ৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শহরের বত্রিশ এলাকার ব্যবসায়ী ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মতিউর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি (মামলা নং ২২/৩৬৩) করেন। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- যেভাবে বাদী এজাহার দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, পুলিশের সাবেক আইজি ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি ন‚র মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মো. আফজাল হোসেনকে হুকুম ও প্ররোচনার আসামি করা হয়।
স্থানীয় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শরিফ আহমেদ সাদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আউলাদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান, শফিকুল আলম, শফিকুল ইসলাম লিমন ঢালী, আল জুবায়েদ খান নিয়াজ, মাহফুজ, ফয়েজ ওমান খান, সাইফুল ইসলাম অপু, মাজহারুল ইসলাম মাসুদ, তৌফিক, সানা, মুরসালিন খান, তাজবীর, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।

মামলার বিবরণী উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার একটি মিছিল কিশোরগঞ্জ স্টেশন রোড এলাকায় জড়ো হয়। প্রথম ৯ আসামির হুকুমে ও প্ররোচনায় অন্যান্য আসামিরা কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিস থেকে রামদা, লোহার রড, হকিস্টিক, পেট্রোল বোমা, ককটেলসহ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হন। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বাদীসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায় দৌড়ে আশ্রয় নেন।

এসময় আসমিরা সেখানে হামলা চালিয়ে ওই বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সেখানে আগুনে পুড়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ভাবুন্দিয়া গ্রামের জুলকার হোসাইন ও একই ইউনিয়নের বীর দামপাড়া গ্রামের অঞ্জনা (২৮) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। জুলকার হোসাইন আশফাকুল ইসলামের বাড়ির দারোয়ান ও অঞ্জনা গৃহকর্মী ছিলেন। মতিউর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি। নিহত জুলফিকার তার দল করতেন বলে দাবি করেছেন মতিউর। এছাড়াও গুলি, ধারালো অস্ত্র-লাঠির আঘাতে ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে আরো অনেকেই আহত হয়েছেন বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty