জামাল আহমেদ, প্রতিনিধি ভৈরব : সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং বিসিবি’র সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। এই নিয়ে পাপনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট পার্থ ভদ্র’র আদালতে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলার বাদী ভৈরব পৌর শহরের লক্ষীপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে মামুন।
মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত, পাপনের পিএস আলমগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, শেফাতউল্লাহ, হাবিবুর রহমান ইকবাল, রাকিব রায়হান, অলিউর রহমান অলিসহ মোট ১১৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই দুপুরে ভৈরবের লক্ষ্মীপুর এলাকার শহীদুল্লাহ কায়সার মার্কেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে আসামিরা বাদী মামুন মিয়াকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এতে তাকে বাঁচাতে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়। একারণে ঘটনার ৪৩ দিন পর মামুন মিয়া গতকাল রবিবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বলেন জানান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এড. স্বপন কুমার সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদীর অভিযোগটি আদালতের বিচারক গ্রহণ করে অভিযোগটি ভৈরব থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঘটনা তদন্ত করে দ্রæত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মামুন মিয়া বলেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিন আমি ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখে বাসায় যাওয়ার সময় পাপনের নির্দেশে আসামিরা আমার উপর দেশীয় অস্ত্র দা, বল্লম, লাঠিসহ বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে আক্রমণ করে। এসময় তারা আমার দুই হাতে কোপ দিলে আমি গুরুতর আহত হই। পরে ঢাকায় চিকিৎসা নিলে চিকিৎসক আমাকে বাঁচাতে একটি হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে ফেলে দেয়। এতে আমি পঙ্গু হয়ে গেছি। আমি বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি।