স্টাফ রিপোর্টার : জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ধুলজুরি গ্রামের রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। একের পর এক মিথ্যা মামলার কবলে পড়ে হয়রানির শিকার হয়ে একই গ্রামের হেলাল উদ্দিন গং বিচারের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে। তিনি মামলাটির পুনরায় তদন্ত দাবি করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মো. হেলাল উদ্দিন গং পত্রিকার সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক বরাবর স্বাক্ষর ও তারিখ সম্বলিত একটি অভিযোগ প্রদান করেন।
অভিযোগ ও তথ্যসূত্র জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার ধুলজুরী গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন আহম্মেদ এর পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে একই এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন গংদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে গত ০৪/০৪/২৪ তারিখ কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ মৃত শামছুদ্দিন আহম্মেদ এর পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মো. হেলাল উদ্দিন গংদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্তের জন্য হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটি এসআই মো. মাজিবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বাদীর বায়েস্ট বা মানিত ফরমায়েশী সাক্ষীদের সাক্ষীসহ মামলাটি তদন্ত শেষে গত ২২/০৫/২৪ তারিখে প্রেরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবাদী মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, একটি মামলায় বিবাদীরা জেলে থাকাকালীন সময়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি একতরফা রায়ের বলে মো. রফিকুল ইসলাম দখলে নিয়ে যায়।
এরপর থেকে হেলাল গংদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে হয়রানি করে যাচ্ছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সাক্ষীসহ আশপাশের লোকজনদের জিজ্ঞেস করে মামলাটি কোর্টে প্রেরণ করেছেন। বিবাদীরা মামলা মাথায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। এ ব্যাপারে মামলার বাদীকে খুঁজে না পাওয়ায় সাক্ষাতকার বা বক্তব্যটি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। এদিকে নিরিহ হেলাল গং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি এবং সুবিচার কামনা করেছেন।