গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় হবিগঞ্জ পৌর টাউনহলে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে চলমান ‘মব জাস্টিস’ এর বিরুদ্ধে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিতভাবে আদিবাসিদের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মিছিল করে হবিগঞ্জের আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা।
হবিগঞ্জের ছাত্রনেতা ইমদাদ মোহাম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আন্দোলনকারী ছাত্রনেতা আতিকুল ইসলাম, ছাত্রনেতা রাশেদা ইসলাম, ছাত্রনেতা নুরুল আলম , শিক্ষার্থী জিসান আহমেদ। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জে আন্দোলকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্ধ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তরুনদের রক্তের বিনিময়ে দেশে অভ্যুত্থান হয়েছিলো। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও সষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ছিলো। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি শহীদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
যা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাংচুর এবং মব জাস্টিসের মাধ্যমে বিচার বহির্ভূত কর্মকান্ড মাথাচড়া দিয়ে উঠছে। এর ফলে দেশের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন শোষণের শিকার হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা সম্প্রতি আবার ও হামলার শিকার হয়ে তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। অতিশীঘ্রই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাÐ ও আদিবাসীদের উপর হামলার জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পৌর টাউন হল থেকে শুরু হয়ে শহীদ মোস্তাক চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।