বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

ঘুষ দিয়েও মিলেনি তিতাসের গ্রাহক সংকেত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪১ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বত্রিশ তিতাসের ‘জো বি অ’তে চলছে গ্যাস সংযোগের এন্টি বাণিজ্য। প্রতি সংযোগের বিপরীতে গ্রাহককে দিতে হয় বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা।

দপ্তর স‚ত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সন থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ গ্রাহকের সংকেত নম্বর কম্পিউটারে অটোমেশন করার সময় ভুল বা অসমাপ্ত রয়ে যায়। এতে বৈধ গ্রাহক গ্যাস বিল পরিশোধ করতে গিয়ে ব্যাংকে গ্রাহক সংকেত না পেয়ে বিল পরিশোধ না করে ফিরে আসতে হয়। মাসের পর মাস বিল পরিশোধ না করায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিলের উসিলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রাহকদের রাইজার খুলতে প্রস্তুতি নিলেই নিরুপায় গ্রাহকরা মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে রাইজার খোলা থেকে তাদের নিবৃত্ত রাখতে বাধ্য হয়।

অফিসে আসা এক গ্রাহকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল শ্রীনগর নিবাসী মো. রকুন মিয়া। গ্যাস সংযোগ গ্রাহক নং ১৭৭-৬৫৯৭ তারিখ ১০/১২/২০১৩ সনে সংযোগ চালু করা হয়। কম্পিউটারে নাম না উঠার কারণে রাইজার নিয়ে আসে অফিসে। তারপর শুরু হয় উৎকোচ বাণিজ্য।

১০ হাজার টাকা দিয়ে যাএা শুরু হলেও একের পর এক চাহিদানুযায়ী টাকা দিয়ে কুলোতে না পেরে অবশেষে অসুস্থ রুকুনের স্ত্রী হাসনা সুদের উপর ধার দেনা করে সর্বশেষ বিশহাজার টাকা ইঞ্জিনিয়ার বাছির, আরিফ ও ইব্রাহিম কে দেয়, এতেও বিধি বাম। ডিজিএমের ভাগ দিতে হবে। এদিকে আরিফ উক্ত গ্রাহকের স্ত্রীর নিকট থেকে সকল দরকারী কাগজপত্র নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেয়।

বত্রিশ এলাকার অপর এক গ্রাহকের নাম সংশোধন এর আদেশ হওয়ার পর সকল চাহিত প্রমাণাদি জমা প্রদানের ভিওিতে নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দেয়ার পরও আরিফ ও বাছিরকে ত্রিশ হাজার টাকা না দেয়ায় এক বছর যাবত ফাইল বিভিন্ন অজুহাতে বন্দি হয়ে আছে। জোবিঅ মনোনীত দুইজন আইনজীবী পরামর্শক থাকলেও আরিফ ও বাছির কমিশন লাভের জন্য একজন আইনজীবীকে দিয়েই সকল মনমত পরামর্শ নিয়ে থাকেন।

এদের চাপে পড়ে ১০ হাজার টাকা আইনজীবীর ফি গ্রাহককে দিতে বাধ্য হতে হয়। অথচ আরেকজন আইনজীবী ফিস বাণিজ্য না করার কারণে তার নিকট একটি ফাইলও পরামর্শের জন্য পাঠানো হয়নি। আর এ সকল অনিয়ম অপকর্মের ম‚ল হোতা ‘জোবিঅ’ কিশোরগঞ্জের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী আব্দুল জব্বার (সদ্য বদলীকৃত) আরিফ, বাছির, ইব্রাহিম এবং ওবায়দুল্লাহ (অন্য শাখার ষ্টাফ হলেও) গ্রাহক হয়রানীতে লিপ্ত থেকে প্রতারণা বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে আসছে।

এব্যাপারে তত্ত¡াবধানকারী কর্মকর্তা উপ-মহাব্যবস্থাপক ময়মনসিংহ সুরঞ্জিত কুমার দে কমিশন পাওয়ায় এ কর্মচারীদের কোন ধরনের অনিয়ম অপরাধের উপযুক্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা না করে স্বীকৃতি দিয়ে আসছেন। দুই একজন ঠিকাদার তাদের গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবি জানালে তাদের কথার কোন কর্ণপাত করেননি। এ বিষয়ে জোবিঅ বর্তমান প্রধান অতি স¤প্রতি বদলী হয়ে আসায় তিনি বিষয়গুলো প্রতিকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানাবেন বলে জানান।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty