প্রতিনিধি, কটিয়াদী, মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক : ‘ওই হাওয়াই মিঠাই লাগবো গো, হাওয়াই মিঠাই’ সাথে তবলার আওয়াজ ডুম ডুম ডুম..। ফেরিওয়ালাদের শব্দ শুনেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভৌ-দৌড়। শুরু হয় জটলা। পিতা-মাতার কাছে শিশুদের বায়না, কিনে দিতেই হবে।
আবহমান গ্রাম বাংলায় অনেক ঐতিহ্য ও স্মৃতি আজও শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। হঠাৎ দেখলে বা মনে হলে ফেলে আসা শৈশবের সময়গুলো চোখের সামনে একপলকে ভেসে উঠে। তেমনি এক ঐতিহ্য নিয়ে এখনো টিকে আছে হাওয়াই মিঠাই।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এখনো দেখা যায় হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের। বংশপরম্পরায় এখনো এই পেশা ধরে রেখেছে অনেকেই। একসময় এর সংখ্যা অধিক হলেও বর্তমানে হাতে-গোনা কিছু মানুষ এটি টিকিয়ে রেখেছেন।
স¤প্রতি জেলার কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামে দেখা যায়, হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের। কাঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে দুইপাশে কাঁচের বাক্সে হাওয়াই মিঠাই রাখা।
এই হাওয়াই মিঠাই চিনি দিয়ে তৈরি হয়। মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। গোলাপি রং দিয়ে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। অনেক ফেরিওয়ালা লাঠির মধ্যে টানিয়ে রাখেন। হঠাৎ দ‚র থেকে দেখলে মনে হয় আকাশ বুঝি গোলাপি রং ধারণ করেছে।
ফেরিওয়ালা আব্দুল আলী বলেন, অনেক আগের পেশা আমাদের এটা। বর্তমানে চিনির দাম বেড়েছে। আগের মতো এখন লাভ হয় না। সারাদিন দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হলে ছয় থেকে সাতশো টাকা লাভ থাকে। সবদিন তো একরকম হয় না। আবহাওয়া মন্দ থাকলে বেকার সময় কাটাতে হয়।