বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে গণতন্ত্রী পার্টি। প্রবীণ এ রাজনীতিকের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন।
এক যৌথ শোক বার্তায় তারা বলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী ১৯৬০ এর দশকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব বিরুধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) এর সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুথান এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে তিনি ন্যাপ (মোজাফফর) এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে তিনি ন্যাপ (হারুন) এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বাম ধারার রাজনীতি পরিত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং বার বার মন্ত্রী হয়েছেন। তার স্বামী প্রয়াত বজলুর রহমান দেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ছিলেন। এই দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি জীবনে মোট ৪ বার জেল খেটেছেন।
বৃহস্পতিবার মতিয়া চৌধুরীর ২য় জানাজা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। বর্ষীয়ান রাজনীতিক বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করছি। আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্নিঝরা বক্তৃতার জন্য তাঁকে বলা হতো ‘অগ্নিকন্যা। তার মৃতুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করছি।
তার শোক সন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু, বান্ধব ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। প্রসঙ্গত, মতিয়া চৌধুরী গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গণতন্ত্রী পার্টির প্রচার সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।