প্রতিনিধি, হোসেনপুর : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের জিনারি ইউনিয়নের হোগলাকান্দি ভোটের বাজার হতে চরকাটিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বর্তমানে পুকুরের মাঝে বিলীন হতে চলেছে। কয়েকদিনে ভারী বর্ষণে রাস্তার কিছু অংশ গর্ত হয়ে পুকুরে নেমে যাওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চরকাটিহারি, চর হাজিপুর, নাককাটার চরসহ বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করে। ওই এলাকাগুলো সবজি উৎপাদিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফসল বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও এ রাস্তায় চলাচলে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। তাই দ্রুত সময়ে রাস্তাটির সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির প্রস্থের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ধসে পড়েছে। রাস্তাটির বর্তমান প্রস্থ ৩ ফুটের চেয়েও কমে এসে ঠেকেছে। আগে এই রাস্তা দিয়ে অটো, রিক্সা, সিএনজিসহ গুরুত্বপ‚র্ণ যানবাহন চলাচল করলেও এখন মোটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
চরকাটিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরব আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দিন যতই যাচ্ছে; ততই এই রাস্তাটির অবস্থা আরো করুণ হচ্ছে। প্রতিদিনই রাস্তার কোনো না কোনো অংশ পুকুরের পেটে যাচ্ছে। এতে করে রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
মুক্তিযোদ্ধা আ. খালেক বলেন, আগে এই রাস্তা দিয়ে অটো, রিক্সা চলাচল করত; কিন্তু এখন আর অটোরিক্সা ও চলাচল করতে না পাড়ায় শাকসবজি ও ফসল আনা নেওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ এলাকার উৎপাদিত শাকসবজি মাথায় করে বাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
অটো চালক সাদেক জানান, বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
উপজেলার এলজিডি প্রকৌশলী গালিব মোর্শেদ বলেন, দ্রুত সময়ে গর্তটা ভরাট করার ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে পুকুর পাড়ে প্যালাসাইটিং দিয়ে পুন: সংস্কার করার আশ্বাস দেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, অচিরেই এ রাস্তা নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা করা হবে।