স্টাফ রিপোর্টার, আবদুল কাদির : কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের বড়ভাগ এ সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা নিরীহ ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়ার স’মিল ভেঙ্গে মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে। ছিদ্দিক মিয়া বড়ভাগ গ্রামের মৃত আ. ছোবান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল গত সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলা ও ভাংচুরের আলামত পর্যবেক্ষণ করেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোশারফ ও মৃত আকবর আলীর পুত্র রতন এবং খোকনসহ আরো কতক সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে ২০২২ সালে ছিদ্দিক মিয়ার স’মিলে হামলা করে।
প্রকাশ্য দিবালোকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দৃর্বৃত্তরা অতর্কিতভাবে হামলা করে স’মিলটি ভেঙ্গে মাটির সাথে গুড়িয়ে দেয়। মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এমনকি তারা ওই ব্যবসায়ীর কিছু জায়গাও দখল করে নেয়। স’মিলে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় সাত লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয় ব্যবসায়ীর।
অভিযোগে আরো জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের শালিস দরবার অমান্য করে দুর্বৃত্তরা জমি দখল ও স’মিলে হামলা করে ভাংচুরের চালায়। তাদের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কিন্ত দুর্বৃত্তরা খুবই প্রভাবশালী ও দাঙ্গাবাজ হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। দলীয় প্রভাব থাকায় আইনকেও তারা উপেক্ষা করে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া সেনাবাহিনীর শরনাপন্ন হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। সেনা কর্মকর্তা ঘটনার আলামত দেখে বর্বর এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দেন উপস্থিত লোকজনদের।