মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

তাড়াইলে আমন ধানের সবুজ পাতায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৭ Time View

প্রতিনিধি, তাড়াইল, রুহুল আমিন : যতদ‚র দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ চোখে পড়ছে। ফাঁকা নেই যেন ফসলের মাঠ। রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা, যেন সবুজের গাঢ় রঙ্গে একাকার হয়ে আছে।

গরম আর হাল্কা হাওয়ায় আপন মনে দোল খাচ্ছে আমন ক্ষেত। আমন ক্ষেতে সবুজের ঢেউ খেলানো এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সর্বত্রই।

এদিকে কৃষকদের স্বপ্ন প‚রণে ক্ষুধা মুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকারও। সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সেই সঙ্গে জমিতে ফলন ভালো ফলাতে নিয়মিত তারা তদারকি করছেন।

চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাল চাষ, সেচ পানি দিয়ে আমন আবাদ করছেন। আর কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন যেন লুকিয়ে আছে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে। এর মধ্যে এ ধানের ক্ষেতকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা যেন স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস স‚ত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড ৫০০ হেক্টর, উফশী ৭ হাজার ২০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩০ হেক্টর জমিতে।

গত বোরো মৌসুমে উন্নত প্রযুক্তির বীজ আর সেচ সুবিধা ভালো থাকায় ধান আবাদে তাদের ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমনে তাদের উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আমন ধান রোপণের পর জমিতে ভালো পরিচর্যা নেয়ায় মাঠের অবস্থা খুবই ভালো।

এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে স্থানীয় কৃষকরা বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। রোগ বালাইয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে তারা উৎসাহিত করছেন। এ উপজেলায় ব্রি-আর ২৮, ব্রি-আর ২৯ সহ বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হয়েছে। বোরোর চেয়ে আমন আবাদে জমিতে ফলন ভাল ফলাতে কৃষকরা চেষ্টা করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা, রাউতি ও তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ক্ষেতে সবুজে সমারোহ হয়ে আছে। সবুজে ঘেরা আমনের মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এ মৌসুমে আমনের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষক ছফর উদ্দীন বলেন, এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। সময়মতো সার দেওয়াসহ সঠিক ভাবে জমির পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছের অবস্থা খুবই ভালো। জমির যে অবস্থা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

অপর কৃষক মুহিবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে এ মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। এক বিঘা জমি আবাদ করতে শ্রমিক মজুরি, সারসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। বর্তমানে জমি সবুজে ভরে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে ধানের শীষ আসবে। নিয়মিত জমির পরিচর্যা করা হচ্ছে। আশা করি গত বছরের চাইতে এবার ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে আমন ধানের ক্ষেতগুলো পাকতে শুরু করেছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। জমিতে ফলন ভালো করতে সার্বিকভাবে স্থানীয় কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যায়।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty