স্টাফ রিপোর্টার, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) হোসেন মাহবুব কামাল : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বাজিতপুরে মানব বন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার ১১টার দিকে বাজিতপুরের বাঁশ মহালের সিএনবি রোডে বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের উদ্যোগে একটি মানব বন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বাজিতপুরের একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ অতর্কীত হামলা চালায়।
এই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ঘটনাস্থলে ৫/৬ জন সাংবাদিক যান। তারা ভিডিও ও ছবি তুলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা চ্যানেল-২১ ও আলোকিত সংবাদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আবুল হোসেন, আজকের পত্রিকার বাজিতপুর প্রতিনিধি মোঃ খলিলুর রহমান এবং
দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ মানিকের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাংচুর, জামাকাপর ছিঁড়ে ফেলা এবং পকেট থেকে মানিব্যাগ পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হুমকি দিয়ে যায় বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলবে। খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকগণ গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারশিদ বিন এনাম, ওসি মোহাম্মদ মোরাদ হোসেনকে অবহিত করা হয়। দুপুর ২টার সময় একই স্থানে সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবী করে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ ও মানব জমিন প্রতিনিধি হোসেন মাহবুব কামাল,
আজকের পত্রিকার মোঃ খলিলুর রহমান, আলোকিত সংবাদের আবুল হোসেন, ভোরের ডাকের সাব্বির আহমেদ মানিক, ভোরের কাগজের শেখ জসিম উদ্দিন, আজকের বসুন্ধরার মোহাম্মদ সেলিম, বাংলা নিউজের মোঃ খসরু মিয়া, এশিয়ান টিভি’র আশরাফুল হক, সাংবাদিক মোঃ আল আমিন প্রমুখ।
বাজিতপুর রির্পোটারস ক্লাব, হাওরাঞ্চল সাংবাদিক ফোরাম সন্ত্রাসী হামলার দ্রুত বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এই ঘটনায় সাংবাদিক আবুল হোসেন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সংখ্যক আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের বাজিতপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হায়দার সহ চার জনক আহত হয়। মোঃ সেলিমকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ’তে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় মোঃ জসিম বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৫০/৫৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে বাজিতপুর থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোরাদ হোসেন জানান- অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক নিয়মিত মামলা শেষে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।