প্রতিনিধি, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) রুহুল আমিন : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পুরোদমে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো পেয়ে কৃষকরাও খুশি। তবে ফলন ভালো হলেও নানা কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। ভালো দাম পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে। কৃষকরা বলছেন, দাম ভালো পেলে আগামী মৌসুমে ধানের আবাদ বাড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড ৫০০ হেক্টর, উফশী ৭ হাজার ২০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩০ হেক্টর জমিতে। আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৭ মেট্রিক টন চাল।
গতকাল রবিবার সরজমিনে দেখা যায়, আমন ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিকগণ। গ্রামগঞ্জে চলছে এখন ধান কাটার মহাউৎসব। সে সাথে চলছে নবান্ন উৎসব। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ নিয়ে হেমন্ত ঋতু। কৃষাণীরা নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করে পিঠা, পায়েস, ক্ষীর, মুড়ি ও মুড়ির নাড়– সহ হরেক রকমের খাবার।
উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক রবিকুল ইসলাম, করিম খান ও সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা আমাদের জমিতে বিনা ১৭, ব্রি ধান ৭৫ কর্তন করা শুরু করেছি। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষেতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ।
উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের রাউতি বøকের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা খলিলুর রহমান মিলন বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে কৃষকরা তাদের আমন ধান কেটে ঘরে তোলার পর তাদের উৎসব শুরু হবে। কৃষকেরা ধান কেটে বাড়ি আনার পর কৃষাণীরা সেটা পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় বলেন, এবার আমনের ফলন ভাল হয়েছে। বর্তমানে চারিদিকে চলছে ধান কাটা ও ঘরে তুলার উৎসব। সবাই আমন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধানের ফলন দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।