মোঃ মিজানুর রহমান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মোঃ ইষাদ মিয়ার পুত্র মোঃ সেলিমের (৩০) বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার তেলিচাড়া গ্রামের মৃত আঃ হাফিজের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলামকে অশ্লিল গালিগালাজ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে হুমকি প্রদানকারী সেলিমের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ দন্ডবিধি ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। মামলা নং সি ৭৬৪/২০২৪।
জানা যায়, গত ২৩ জুন রবিবার আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে সাইফুল ইসলাম উপজেলার উজানচর গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে বাবুল মিয়ার গ্যারেজে মটর সাইকেলে ব্যাগ রেখে দোকানের ভিতরে মালিকের সাথে খোশ গল্প করার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত সেলিম সুকৌশলে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যাগের ভিতর সাইফুল ইসলামের দুটি ব্যাংকের চেক, মামলার মূল কাগজপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফটোকপি করা কাগজপত্র ছিলো। পালিয়ে যাওয়ার সময় সেলিমের পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি সাইফুল ও সাথের লোকজন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোন নাম্বারে কল দিলে সাইফুলকে গালিগালাজ করে সে। স্থানীয় লোকজনসহ অনেকে অনুরোধ করলেও ব্যাগটি ফেরত দেয়নি সে। সেলিমের দাবি তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিলে ব্যাগসহ সকল ডকুমেন্টস ফেরত দিবে।
এরই জের ধরে গত ৮ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত সেলিম ভুক্তভোগী সাইফুলকে মুঠোফোনে কল দিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। কল রেকর্ডটি এ প্রতিবেদক ও ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষণ আছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী সাইফুল ইলাম প্রাণনাশসহ বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আছে। এ নিয়ে অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোনে কল দিলে প্রথমে পরিচয় ঠিকঠাক বললেও অভিযোগের বিষয়টি শুনার পর রং নাম্বার বলে কল কেটে দেন।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের দাবি, তার সাথে লিপি আক্তার নামে এক নারীর একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলাগুলোর সমস্ত প্রমাণপত্র তার খোয়া যাওয়া ব্যাগে ছিলো। তাকে বিপদে ফেলতে ও প্রমাণপত্রগুলো বিনষ্ট করতেই সেলিম এ কাগজপত্রের ব্যাগটি কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, লিপি আক্তারের সাথে সেলিমের পরিচয় আছে। তাকে মামলায় সুবিধা পাইয়ে দিতেই তার প্রমাণপত্রগুলো লোপাটের জন্য এ কাজটি করে সেলিম।