প্রতিনিধি, করিমগঞ্জ : দেশে ভয়াবহ উদ্বেগ উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিশোর ও যুবকদের মোবাইলে বিভিন্ন গেম এর (খেলা) আসক্তি। কিছু কিছু গেম হচ্ছে জুয়ার আদলে। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌর এলাকা ১১টি ইউনিয়নের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দেদারসে চলছে মোবাইল জুয়া।
চায়ের দোকান, গাছের ছায়ায়, আড়ালে-আবডালে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এ ইলেকট্রনিক জুয়ার আসর। উঠতি বয়সী কিশোর-যুবক ছাড়াও স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে জুয়ায় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এর ফলে যেমনি শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়বে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বখে যাওয়া উঠতি বয়সের কিশোর-যুবকেরা জড়িয়ে পড়তে পারে বিভিন্ন অপরাধে।
জানা যায়, এন্ড্রয়েড মোবাইলে অন্যতম আসক্তিজনক খেলা হচ্ছে লুডু। গ্রামের আনাচে-কানাচের চায়ের দোকানে সকাল-সন্ধ্যা আড্ডার ছলে জমে উঠে এ খেলা। এলাকার সচেতন নাগরিকরা এসবে নিরুৎসাহিত করলেও তেমন কাজ হয় না। মাঝে মাঝে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে তারা ত্বরিতগতিতে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার ফিরে আসে মোবাইল লুডু খেলায়।
বিভিন্ন অনলাইন খেলাকে যারা অর্থ আয়ের উৎস বানিয়েছে, যারা নগদ টাকা আয়ের জন্য এ খেলায় মত্ত হয়, তারাই সমাজের জঞ্জাল সৃষ্টি কারী একটি দল। এদের কারণেই সামাজিক অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হানিফ বলেন, মোবাইলে মাধ্যমে ছেলেরা লুডু খেলাধুলা করে জানি। তবে এর মাধ্যমে জুয়া খেলা খুবই উদ্বগের কারণ। এ জুয়া এখনই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তা না হলে সমাজের রন্ধে রন্ধে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়বে সামাজিক অপরাধ।