মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

তাড়াইলে ব্রিজের মাঝখানে গর্তজীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০ Time View

প্রতিনিধি তাড়াইল, রুহুল আমিন : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল-করিমগঞ্জ সড়কের করাতি নামকস্থানে নরসুন্দা নদীর ওপর স্থাপিত ব্রীজটির বয়স মাত্র ২৭ বছর। গত কয়েক বছর ধরে এটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ইদানীং ব্রিজের মাঝেখানে গর্ত হয়ে গেছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাড়াইল-করিমগঞ্জ সড়কের করাতি নামকস্থানে নরসুন্দা নদীর ওপর ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৭ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি করে এলজিইডির। ব্রীজের কাজ সমাপ্ত হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ৪ ডিসেম্বর, বয়স মাত্র ২৭ বছর।

করাতী গ্রামের আবদুস সামাদ, আফতু মিয়া, নুরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম ও জুলহাস ভুঁইয়াসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ- ব্রিজটি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করায় ও বড় বড় বালুর ট্রাক যাতায়াতের কারণে সহজে এর মাঝখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ আতংক নিয়ে ব্রীজটি পাড়ি দিতে হয়। ব্রীজের মাঝখানের গর্ত ক্রমশঃ বড় হচ্ছে। দু’টি যানবাহন একসাথে চলাচল করতে পারছে না। যেকোন সময় এটি ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপ‚র্ণ হওয়া সত্তে¡ও বড় ট্রাক, ট্রাক্টর বালু বহন করে এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় ব্রিজটি ধসে পড়তে পারে। তারা আরও বলেন, তাড়াইল-করিমগঞ্জে যাতায়াতকারী বিশাল জনগোষ্ঠী ও এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জেলার বাকি উপজেলাগুলোর সঙ্গে যে কোন সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।

দিগদাইড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, ১৯৯৭ সালে নরসুন্দা নদীর ওপর এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও বেশি দিন টিকেনি। ব্রিজের সাইট দেবে গেছে এবং মাঝখানে গর্ত হয়েছে। ফলে ঝুঁকিপ‚র্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। ওই এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরাও চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।

উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আসাদ জানান, ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে ২৭ বছর পূর্বে। এই মধ্যে ব্রীজের অধিকাংশ অংশ খসে পড়েছে, নতুন করে ব্রিজের মাঝখানে গর্ত হওয়ায় আরো ঝুঁকিপ‚র্ণ হয়ে উঠেছে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ব্রীজটি দেখে আসেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলজিইডি কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে অতিদ্রæত সাক্ষাতে কথা বলব।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসায় আমি লোক পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করিয়েছি। চলতি বছর উপজেলার উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে সংস্কার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ব্রিজটি ঝুঁকিপ‚র্ণ মর্মে রাস্তার দুই পাশে সর্তকবাণীর সাইনবোর্ড টানানো হবে। ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty