ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় রুদ্ধশ্বাস জয়ে পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ বলে গিয়ে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জিতল ৪ উইকেটে, শেষ ৬ বলে ১১ রান নিয়ে জয়ের নায়ক ২৪ বছর বয়সী টাশিঙ্গা মুসেকিওয়া।
পাঁচ বছর টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের দ্বিতীয়বারের মতো হারানোর স্বাদ পেল সিকান্দার রাজার দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হেরে গেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের শেষ ওভারে ১১ রান নিয়ে জিম্বাবুয়েকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিলেন টাশিঙ্গা মুসেকিওয়া।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে রেখে জিম্বাবুয়ের জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররা। এরপর ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ৪৯ বলে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। ডিওন মায়ের্সের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
ইতিহাসগড়া জয়ের জন্য শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ১১ রান। বোলিংয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, টাশিঙ্গা মুসেকিওয়া একাই খেলেন ওভারের ৬ বল। শেষ ডেলিভারিতে গিয়ে নিশ্চিত করেন দলের রোমাঞ্চকর জয়। আর তাতেই জিম্বাবুয়ে লিখল নতুন করে ইতিহাস, পাঁচ বছরের বেশি সময় পর তারা আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর স্বাদ পেল।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান সংগ্রহ করতে পারে ১৪৪ রান। রিচার্ড এনগারাভা, বেøসিং মুজারাবানির পেস তোপের সামনে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার রীতিমতো বিপর্যস্ত। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ইনিংসের প্রথম ওভারেই এনগারাভার শিকার। আফগান এই ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ডাক হয়ে।
আরেক ওপেনার সেদিকউল্লাহ অটলও হয়েছেন ব্যর্থ, রান করেন কেবল ৩। তিনে নামা হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাট থেকে অবশ্য ২০ রান আসে। উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ ইশাক ১ রান করতেই এনগারাভার বলে হারান উইকেট।
তবে আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিতে বড় অবদান রাখেন করিম জানাত ও মোহাম্মদ নবী। ২৭ বলে ৪৪ রান করে নবী এনগারাভার তৃতীয় শিকার হলেও ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন করিম জানাত। তার ৫৪ রানের ইনিংসে ভর দিয়েই আফগানিস্তান স্কোরবোর্ডে পায় ১৪৪। সিরিজের ২য় ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে মাঠে নামবে জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান।