ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মিঠামইন : মিটামইন উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে চোরের উপদ্রব। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের শাইলদিঘা গ্রামে গতরাতে মোঃ খলিল মিয়ার একটি ষাঁড় চুরি হয়। ষাঁড়টির আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। কিছুদিন পূর্বে শরিফপুর গ্রামের মোঃ আলতু মিয়ার গোয়াল থেকে আরেকটি ষাঁড় চুরি হয়, যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা।
পশ্চিম শরীফপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম লক্ষ্মী মিয়ার একটি অটো রিক্সা চুরি হয়। শরীফপুর গ্রামের রাজা মিয়ার একটি ওয়েল্ডিং মেশিন চুরি হয়। শরীফপুর গ্রামের মোঃ ফজলু মিয়া ও দীন ইসলাম জানান, এই এলাকায় চুরি একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। সারাক্ষণ চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকায়। দক্ষিণ গোপদিঘীর শচীন্দ্র দাসের ঘর থেকে একটি ব্যাটারি, তোফাজ্জল হোসেনের অটো রিক্সার সবকটি ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়।
সুরুজ মিয়ার দোকান থেকে ক্যাশ বাক্স চুরি করে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আব্দুল মিয়ার দোকান থেকে একটি দামি মোবাইল চুরি হয়। গোপদিঘী বাজারে পাহারাদার থাকা সত্তে¡ও বাবুলের হোটেল থেকে একটি ব্যাটারি, সুজিত কর্মকারের দোকান থেকে দুই লাখ টাকার স্বর্ণ ও রৌপ্যালঙ্কার চুরি হয়।
গোপদিঘীর ভানু দাসের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল এবং গোপদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যাটারি চুরি হয়। দক্ষিণ গোপদিঘীর আকাশ দাস জানায়, তারা নিজেদের উদ্যোগে রাত্রে পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যাপারে গোপদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, এসব চুরির ব্যাপারে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। শীঘ্রই এসব চুরি বন্ধ হবে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান করেন যে, অবিলম্বে যেন এর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।