তাড়াইল প্রতিনিধি, রুহুল আমিন : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে শীতকালীন সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণী। চলতি বছর অতি বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবজি চাষ করেছেন। তাদের উৎপাদিত সবজি উপজেলার সবকটি বাজারে চলে এসেছে এবং শীতকালীন সবজি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৭৬০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও জানা যায়, প্রতিবছর এ উপজেলায় উৎপাদিত সবজি উপজেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে। চলতি বছর অতি বৃষ্টির কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিঘœ ঘটে। নষ্ট হয়ে যায় বীজ ও চারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে উপজেলার সবকটি বাজারে। হঠাৎ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ক্ষেতের পর ক্ষেত যেদিকে চোখ যায় শুধু শীতের সবজির পরিচর্যার দৃশ্য। সবজি ক্ষেত নিংড়ানো, আগাছা পরিষ্কার ও পানি দিতে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণী।
নরসুন্দা নদী বিধৌত এই উপজেলার ভ’মি বিন্যাস উর্বর হওয়ায় প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়ে থাকে। চাষ করা সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা, টমেটো, শিম, লাউ, পালংশাক, লালশাক, ধনেপাতাসহ হরেক রকমের সবজি।
তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে আমাদের এলাকায় প্রতি বছরই বাড়ছে শীতকালীন সবজি চাষের জমির পরিমাণ। অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালীন সবজি আবাদ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এ কারণে আমি প্রতি বছরই সবজি চাষ করি।
তাতে বাজারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও মেটে, আবার লাভবান হওয়া যায়। আরেক কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের এই সবজি বাজারে উঠার পরই কমে যাবে সবজির দাম। একই সঙ্গে বাজারে সবজির সংকটও কেটে যাবে। আশা করছি এ বছর সবজি চাষে লাভবান হবো।
তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় জানান, এ উপজেলা সবধরনের সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর উপজেলায় বিপুল পরিমাণ সবজির চাষ হয়। এর ফলে বাজারে সবজির সংকট কেটে গিয়ে দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসে।