পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি, মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন।
মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল। তারা তাদের এ-দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের বহু কৃতী সন্তানকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা, মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র কাশিত হয়ে পড়ে।
স্বাধীনতার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও পাকুন্দিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ শারফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার, পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ এবতেদায়ী মাদরাসা কল্যাণ পরিষদ পাকুন্দিয়া শাখার সভাপতি মোঃ আবদুল হালিম, থানা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মাজহারুল হক উজ্জ্বল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মাওঃ নূরুল ইসলাম। আলোচনা সভায় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দফরের কর্মকর্তাগন, মুক্তিযুদ্ধা, সাংবাদিক, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।