কটিয়াদী প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে জিনিয়া রহমান (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু জিনিয়া রহমান কটিয়াদী উপজেলাধীন জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের শিক্ষক দম্পতি হাবিবুর রহমান সুজন ও আছমা আক্তার বেলীর একমাত্র কন্যা এবং চরপুক্ষিয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জিনিয়ার পিতা হাবিবুর রহমান সুজন জানান, গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কটিয়াদী থেকে পরিবারের লোকজনের সাথে কিশোরগঞ্জে তার খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল জিনিয়া। কিশোরগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর পাশে খালার বাসা থেকে বের হয়ে সকাল ১১টার দিকে খালাতো বোন আরফা আক্তারের সাথে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রতগতিতে আসা একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে সে রাস্তার উপর পড়ে যায়। এসময় অটোরিকশাটি
তার পেটের উপর দিয়ে চলে গেলে সে মাথায় ও পেটে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। তার শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরপুক্ষিয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খানম জানান, জিনিয়া রহমান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। দ্বিতীয় শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। মেয়েটি একাধারে মেধাবী, শৌখিন ও অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। খালার বাসায় বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে আমাদের ভীষণ কষ্ট।