প্রতিনিধি করিমগঞ্জ, দেলোয়ার হোসেন : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলতি রোপা আমন ধানের বীজ কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক কৃষক। সেকান্দর ভূঁইয়া (৫০) নামে এক কৃষকসহ কয়েকজন কৃষক করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার থেকে এই বীজ কিনেন। নিয়ামতপুর বাজারের বীজ ব্যবসায়ী সোহাগ এবং আউয়াল ২২ জাতের বীজের কথা বলে শতাধিক কৃষকের কাছে নকল বীজ ধান বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, নিয়ামতপুর বাজারের বীজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা বীজধান দিয়ে বীজতলা তৈরী করেন। চারা রোপনের পর খেতের সব ধানে চিটা শীষ বের হয়েছে। ফলে উরদিঘী, সুলতাননগর, খয়রতসহ বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩০ একর জমিতে ধানের ফলন ব্যাহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কৃষকই আশপাশের এলাকা থেকে অধিক মূল্যে ধানের বীজ সংগ্রহ করে চারা রোপন করেছেন।
এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হেলিম জানান, নকল বীজধান কিনে এলাকার অনেক কৃষকের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আব্দুল আউয়াল এলাকার কৃষককের কাছে বীজধান বিক্রি করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে ব্যবসায়ীদের সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
করিমগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুখছেদুল হক জানান, নকল বীজধান কিনে গুণধর ইউনিয়নের অনেক কৃষক প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তিনি আরও বলেন, এলাকার কৃষকরা বীজধান কেনার আগে আমাদের অফিসের পরামর্শক্রমে যাচাই-বাছাই করে বীজধান ক্রয় করলে তারা প্রতারণার শিকার হতেন না।