ভৈরব প্রতিনিধি, জামাল আহমেদ :
ঢাকার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ঘুমন্ত তাবলীগ জামাতের ওপর সাদপন্থীরা হামলা চালিয়ে ৪ সাথীকে নৃশংসভাবে হত্যা করায় হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিষিদ্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব নিউটাউন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ভৈরবের আলেম সমাজ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। ভৈরব মারকাজের শূরা সদস্য হাজী মুহাম্মদ মুছা মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদ,
ভৈরব উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ভৈরব বাজার জামে মসজিদের খতিব হাফেজ জামাল উদ্দিন, কমলপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মারকাজের শূরা সদস্য মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, হাজী মাক্কুল মোল্লা, শাহী মসজিদের মুফতি উমর ফারুক, কমলপুর মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফিজুল্লাহ, ইমাম উলামা পরিষদ ভৈরবের সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাহেল প্রমুখ।
এসময় সাত ইউনিয়নসহ পৌর সভার ইমাম-খতিব, উলামায়ে কেরাম এবং তাবলীগের সাথীসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় ইসরায়েলের দালাল সাদপন্থীরা ২০১৮ সালের ১ডিসেম্বর ন্যায় আবারও একই কায়দায় গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ মধ্যরাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আমলরত অবস্থায় হাফেজ, আলেম ও তাবলীগের সাথীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৪জন সাথীকে খুন করে এবং অনেকেই এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দেশের ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী, সমন্বয়ক ও সর্বোচ্চ মহল এই সাদীয়ানী গ্রুপকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই এই সাদপন্থী সন্ত্রাসী গ্রুপকে মসজিদে দ্বীন ও তাবলীগের নামে তাদের সকল কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানান সরকারের নিকট।