কটিয়াদী প্রতিনিধি, ফজলুল হক জোয়ারদার :
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী বাজারে গত সোমবার দিবাগত রাতে মানিক সূত্রধরের ফার্নিচারের দোকান আগুনে পুড়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী মানিক ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের গাফিলতিকে দায়ী করলেও ফায়ার ব্রিগেডের দাবি যান্ত্রিক সমস্যা।
জানা যায়, কটিয়াদী বাজারের উপজেলা পরিষদ সড়কে মানিক সূত্রধরের ফার্নিচারের দোকানে সোমবার মধ্যরাত আগুন দেখতে পেয়ে বাজারের পাহাড়াদারা তাদের হ্যান্ড মাইকে আগুন আগুন বলে চিৎকার ও নেভানোর জন্য এলাকাবাসীকে ডাকতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিস তাদের গাড়িতে থাকা রিজার্ভ পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে এবং পুকুর থেকে পাম্প মেশিনে পানি তুলতে গেলে মেশিন নষ্ট থাকায় পানি তুলতে পারেনি। পরে পার্শ্ববর্তী বাজিতপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দোকানের রক্ষিত কাঠ, তৈরী ফার্নিচার ও যাবতীয় মালামালসহ দোকান ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় আগুণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির কিছু অংশে উন্নয়নমূলক কাজ করে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দোকান মালিক মানিক সূত্রধর জানান, এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা। আমাকে ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র চলছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনেরও গাফিলতি ছিল। আমার দোকানে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ফার্নিচার ও ফার্নিচার তৈরীর কাঠ, যন্ত্রপাতি ও ঘর পুড়ে গেছে।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম।
কটিয়াদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, রাত ১.৩৩ মিনিটে আমাদেরকে ফোন দিয়ে আগুন লাগার বিষয় জানালে ১.৪২ মিনিটে আমরা ঘটনার স্থলে পৌঁছে যাই। আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই অর্ধেক দোকান পুড়ে যায়। গাড়িতে রিজার্ভ ১৮শ লিটার পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা চেষ্টা করি। অন্যদিকে পাশের পুকুর থেকে পানি তোলার চেষ্টা করলে মোটরের পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাজিতপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলসহ আমরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনি।