স্টাফ রিপোর্টার : কারো মৃত্যুর খোঁজ পেলেই কোদাল, দা, খন্তা নিয়ে বের হয়ে যেতেন হাবিবুর রহমান। কোমড়ে গামছা বেঁধে, লুঙ্গির নীচে গিট দিয়ে কবর খননের কাজে লেগে যেতেন। শুধু কবর খননেই নয় পুরুষ লাশের শেষ গোসল করিয়ে তিনি বেশ তৃপ্তি পেতেন। তিনি অর্ধশত বছর ধরে স্বেচ্ছায় এমন সেবামূলক কাজটি করে যেতেন স্বত:স্ফুর্ততার সাথে।
মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে হাবিবুর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ মহৎ কাজটি নাকি তার বাবা করতেন। বাবার কাছ থেকেই উৎসাহ পেয়ে তিনি কবর খনন ও লাশের গোসলের কাজে এগিয়ে যান। এতে তিনি এক ধরনের আত্মতৃপ্তি পান বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি প্রায় সাত শতাধিক কবর খনন ও লাশ সমাহিতের শেষ গোসল করিয়েছেন। এলাকায় হাবিবুর রহমান গোর খননকারি হাবিব নামে অধিক পরিচিত। সদালাপী মানুষটিকে হারিয়ে এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী বাড়ই পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী ফজলু রহমানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান গতকাল রবিবার ফজরের নামাজরত অবস্থায় বেশী অসুস্থ্য বোধ করায় দুই রাকাত সুন্নত নামাজ শেষে দ্রæত বাড়িতে যাওয়ার সময় হার্ট এ্যাটাকে রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহী…….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করে শোক প্রকাশ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনসুর আলী, কবি ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম মাষ্টার, মাও: কামরুল ইসলাম, মাও: নোমান আহমেদ, ব্যবসায়ী মো: মোস্তুফা প্রমুখ। এছাড়াও সাহেরা-জব্বার মেডিকেল হল ও সাহেরা-জব্বার বহুমুখী পাঠাগারের পক্ষে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
সাবেক ছাত্র লীগ নেতার মাতৃবিয়োগ
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের মাতা রওশন আরা খানম (৭০) গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি … জিউন। গত শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।