স্টাফ রিপোর্টার, আছাদুজ্জামান খন্দকার :
জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে পরিবহন সমস্যা।
থানা সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া থানায় এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ সব মিলিয়ে ৬০ জন পুলিশ সদস্য থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৪৭ জন। বিভিন্ন পদে ১৩টি পদ খালি রয়েছে। এর মধ্যে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ১২টি পদের বিপরীতে আছেন ৬ জন। সহ উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ১০টি পদের বিপরীতে আছেন ৭ জন।
কনস্টেবল ৩৮টি পদের বিপরীতে আছেন ৩৪ জন। যে কারণে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিয়ে থানা এলাকার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিঘœ ঘটছে। একটি মাত্র সরকারি গাড়ি দিয়ে থানা এলাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হওয়ায় ভাড়া করা সিএনজি যোগে পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আগে রাস্তায় অনেক পুলিশ থাকত। রাতে বের হলেও নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ কাজ করতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় কোন ঘটনা বা অপরাধ সংঘটিত হলেও তাৎক্ষণিক কোন পুলিশ পাওয়া যায় না। পুলিশ দেরীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তার আগেই ঘটনা যা ঘটার ঘটে যায়। তাছাড়া লোকবল কম থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, লোকবল কম থাকায় নির্ধারিত ডিউটির বাইরেও তাদের অতিরিক্ত সময় দিতে হচ্ছে। পাওয়া যায় না কাক্সিক্ষত ছুটি। একটানা কাজ করতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। অপারগ হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের সাধ্যাতীত কাজ করতে হয় প্রতিদিন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সীমিত লোকবল নিয়ে জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা পৌরশহরের যানজট ও এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রæত সময়ের মধ্যেই কাক্সিক্ষত লোকবল আমরা পাব।