বর্ণিল এর ভালোবাসায় সিক্ত নাম পরিচয়হীন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর নবজাতক। গতকাল বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারসাম্যহীন এক তরুণী ও তার নবজাতককে দেখতে যান কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং তার মেয়ে বর্ণমালা ও ছেলে বর্ণিল। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের পিপিএম (বার), বিপিএম (সেবা) পুত্র বর্ণিল মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর নবজাতককে খেলনা গাড়ী উপহার দেয় এবং পুলিশ সুপার তাদের খাদ্য সামগ্রী ও জামাকাপড় উপহার দেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, যতদিন তারা হাসপাতালে থাকবে ততদিন তিনি যা যা প্রয়োজন সহযোগীতা করে যাবেন।
জানা যায়, ২৮ এপ্রিল দুপুরে মহিনন্দ নয়াপাড়ায় ইটখলার পাশে পরিচয়হীন, মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী প্রসব ব্যথায় কাতরাতে দেখে স্থানীয় বাসীন্দা দুলেনা ও সেলিনা বেগমের মায়া হয়। তারা তরুণীকে উদ্ধার করে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেদিনই একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন এই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। তখন থেকেই দুলেনা ও সেলিনার ঘরেই আশ্রিত হন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ও তার নবজাতক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (সাবেক) মনসুর আলী কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে বিষয়টি জানালে তিনি (ওসি) জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা উপহারসামগ্রী সহ তরুণী ও নবজাতকে দেখতে মহিনন্দ নয়াপাড়ায় যান। পরে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ও তার নবজাতককে সুচিকিৎসা দেয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ও তার সন্তান কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ ও সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মা ও শিশুটিকে হাসপাতালে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করেছেন।
ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা সেখানে ছুটে যাই এবং মা ও নবজাতকের চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে মা ও নবজাতক শিশু সদর হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী ও নবজাতক শিশুর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।