নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কালবৈশাখী ঝড়ে একমাত্র ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন স্বামী নিগৃহীতা এশা বানু।
এশা বানু নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর মেয়ে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে মা-বাবা ছোটবেলায় এশা বানুকে বিয়ে দিয়েছিলেন পাশের গ্রামের দ্বীন ইসলামের কাছে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীর অত্যাচারে টিকতে না পেরে চলে আসেন বাবার বাড়িতে।
গরিব বাবার বাড়িতে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন যাপন করতে হতো এশাকে। সারাদিন কাজ করে রাতে এসে বাবার ভিটায় থাকতেন। বাবা মারা যাওয়ার আগে সহায় সম্বল বলতে একমাত্র ভিটেটুকু লিখে দিয়ে যান তার ছেলেকে। এরপর থেকে ভাইয়ের ঘরের পাশে ছোট্ট একটি দুচালা ঘর উঠিয়ে থাকেন এশা বানু।
গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে এশা বানুর একমাত্র ঘরটি ভেঙে যায়। তারপর থেকে খোলা আকাশের নিচেই থাকেন তিনি। তার এই কষ্ট দেখে এলাকার লোকজন তাকে অন্যের একটি জীর্ণ ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
এশা বানু শতাব্দীর কণ্ঠের প্রতিবেদককে জানান- প্রধানমন্ত্রী তো কত অসহায় দরিদ্রদের ঘর দিচ্ছেন। জীবনের শেষ বেলায় যদি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি ঘর পেতাম, তাহলে শেষ সময়টা হয়তো সকল দুঃখ ভুলে গিয়ে একটু শান্তি পেতাম।