কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বুধবার (৮ মে) দুপুরে এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব-এ উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ২য় ব্যাচের সমাপনীর মাধ্যমে ৬০ জন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে পৃথক পৃথকভাবে ৪ দিনব্যাপী কম্পিউটার ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০-২১ মার্চ বেগম নুরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব-এ ১ম ব্যাচে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আলম প্রধান অতিথি হিসেবে ১ম ও ২য় ব্যাচে ৪ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন ও সমাপনী ঘোষণা করেন।
১ম ও ২য় ব্যাচে সমাপনী দিনে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরে আলম, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রোগ্রামার মোঃ জাহিদুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ মুশফিকুর রহমান, বেগম নুরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান, এমাদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু সূত্রধর, অভিভাবক প্রতিনিধি আবু বকর ছিদ্দিক সেলিম প্রমুখ।
চার দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ছিলেন কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সারোয়ার জাহান, কুলিয়ারচর উপজেলা প্রোগ্রামার মোঃ রাকিবুল হাসান ও বাজিতপুর উপজেলার প্রোগ্রামার মহিবুর রহমান খান।
প্রশিক্ষণে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৭টি স্কুল-মাদ্রাসার ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, দুই দিনব্যাপী কম্পিউটার ও সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা অনেক খুশি। প্রশিক্ষণার্থীরা এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আরো দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ হলে অনেক কিছু শেখা যেতো। তারা বলেন, নিজের অজান্তেই অনেকে সাইবার অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে যেতে পারে অথবা নিজেরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে।
তাই তাদের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা জরুরি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ তাদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে ধারণা দেওয়ার জন্য খুবই যুগোপযোগী পদক্ষেপ। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এ ধরনের আরো দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণের দাবি জানান প্রশিক্ষণার্থীরা।
বক্তারা বলেন, ছাত্রজীবন থেকে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিমনস্ক করে গড়ে তুলতে স্কুলে স্কুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আর এ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও আইসিটি ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।